দুটি অতুল পদতল রাতুল শতদল
জানি না কী লাগিয়া পরশে ধরাতল,
মাটির ’পরে তার করুণা মাটি হল— সে পদ মোর পথে চলিবে না?
তব কণ্ঠ-’পরে হয়ে দিশাহারা
বিধি অনেক ঢেলেছিল মধুধারা।
যদি ও মুখ মনোরম শ্রবণে রাখি মম
নীরবে অতিধীরে ভ্রমরগীতিসম
দু কথা বল যদি ‘প্রিয়’ বা ‘প্রিয়তম’, তাহে তো কণা মধু ফুরাবে না।
হাসিতে সুধানদী উছলে নিরবধি,
নয়নে ভরি উঠে অমৃতমহোদধি—
এত সুধা কেন সৃজিল বিধি, যদি আমারি তৃষাটুকু পূরাবে না।
৫৮
বঁধু, মিছে রাগ কোরো না, কোরো না।
মম মন বুঝে দেখে মনে মনে— মনে রেখো, কোরো করুণা।
পাছে আপনারে রাখিতে না পারি
তাই কাছে কাছে থাকি আপনারি—
মুখে হেসে যাই, মনে কেঁদে চাই— সে আমার নহে ছলনা।
দিনেকের দেখা, তিলেকের সুখ,
ক্ষণেকের তরে শুধু হাসিমুখ—
পলকের পরে থাকে বুক ভ’রে চিরজনমের বেদনা।
তারি মাঝে কেন এত সাধাসাধি,
অবুঝ আঁধারে কেন মরি কাঁদি—
দূর হতে এসে ফিরে যাই শেষে বহিয়া বিফল বাসনা।
৫৯
কার হাতে যে ধরা দেব হায়
তাই ভাবতে আমার বেলা যায়।