দেখতে এলে করুণ বীণা— বাজে কিনা হৃদয়ে,
তারগুলি তার কাঁপে কিনা— যায় কি সে ডেকে।
৬৬
হৃদয় আমার ওই বুঝি তোর ফাল্গুনী ঢেউ আসে—
বেড়া ভাঙার মাতন নামে উদ্দাম উল্লাসে।
তোমার মোহন এল সোহন বেশে, কুয়াশায় গেল ভেসে—
এল তোমার সাধনধন উদার আশ্বাসে।
অরণ্যে তোর সুর ছিল না, বাতাস হিমে ভরা—
জীর্ণ পাতায় কীর্ণ কানন, পুষ্পবিহীন ধরা।
এবার জাগ্ রে হতাশ, আয় রে ছুটে অবসাদের বাঁধন টুটে—
বুঝি এল তোমার পথের সাথি উতল উচ্ছ্বাসে।
৬৭
ওরে বকুল পারুল, ওরে শালপিয়ালের বন,
কোনখানে আজ পাই আমার মনের মতন ঠাঁই।
যেথায় আমার ফাগুন ভরে দেব দিয়ে আমার মন,
দিয়ে আমার সকল মন।
সারা গগনতলে তুমুল রঙের কোলাহলে
তোদের মাতামাতির নেই যে বিরাম কোথাও অনুক্ষণ,
নেই একটি বিরল ক্ষণ
যেথায় আমার ফাগুন ভরে দেব দিয়ে আমার মন,
দিয়ে আমার সকল মন।
ওরে বকুল পারুল, ওরে শালপিয়ালের বন,
আকাশ নিবিড় করে তোরা দাঁড়াস নে ভিড় করে
আমি চাই নে, চাই নে, চাই নে এমন গন্ধ রঙের
বিপুল আয়োজন। আমি চাই নে।