অকূল অবকাশে যেথায় স্বপ্নকমল ভাসে
এমন দে আমারে একটি আমার গগন-জোড়া কোণ,
আমার একটি অসীম কোণ
যেথায় আমার ফাগুন ভরে দেব দিয়ে আমার মন—
দিয়ে আমার সকল মন।
৬৮
হিয়ামাঝে গোপনে হেরিয়ে তোমারে
ক্ষণে ক্ষণে পুলক যে কাঁপে কিশলয়ে,
কুসুমে কুসুমে ব্যথা লাগে।
৬৯
যেন কোন্ ভুলের ঘোরে চাঁদ চলে যায় সরে সরে।
পাড়ি দেয় কালো নদী, আয় রজনী, দেখবি যদি—
কেমনে তুই রাখবি ধ’রে, দূরের বাঁশি ডাকল ওরে।
প্রহরগুলি বিলিয়ে দিয়ে সর্বনাশের সাধন কী এ।
মগ্ন হয়ে রইবে বসে মরণ-ফুলের মধুকোষে—
নতুন হয়ে আবার তোরে মিলবে বুঝি সুধায় ভ’রে।
৭০
অবেলায় যদি এসেছ আমার বনে দিনের বিদায়ক্ষণে
গেয়ো না, গেয়ো না চঞ্চল গান ক্লান্ত এ সমীরণে।
ঘন বকুলের ম্লান বীথিকায়
শীর্ণ যে ফুল ঝ’রে ঝ’রে যায়
তাই দিয়ে হার কেন গাঁথ হায়, লাজ বাসি তায় মনে।
চেয়ো না, চেয়ো না মোর দীনতায় হেলায় নয়নকোণে।
এসো এসো কাল রজনীর অবসানে প্রভাত-আলোর দ্বারে।
যেয়ো না, যেয়ো না অকালে হানিয়া সকালের কলিকারে।