কৃপাকণা দিয়ে আঁখিকোণে ফিরে দেখো না।
আমার দুঃখ-জোয়ারের জলস্রোতে।
নিয়ে যাবে মোরে সব লাঞ্ছনা হতে।
দূরে যাব যবে সরে তখন চিনিবে মোরে—
অবহেলা তব ছলনা দিয়ে ঢেকো না।
অমরের প্রতি
শান্তা। না বুঝে কারে তুমি ভাসালে আঁখিজলে।
ওগো, কে আছে চাহিয়া শূন্যপথপানে—
কাহার জীবনে নাহি সুখ, কাহার পরান জ্বলে।
পড় নি কাহার নয়নের ভাষা,
বোঝ নি কাহার মরমের আশা, দেখ নি ফিরে—
কার ব্যাকুল প্রাণের সাধ এসেছ দ’লে।
অমর। যে ছিল আমার স্বপনচারিণী
তারে বুঝিতে পারি নি—
দিন চলে গেছে খুঁজিতে খুঁজিতে।
শুভখনে কাছে ডাকিলে, লজ্জা আমার ঢাকিলে গো—
তোমারে সহজে পেরেছি বুঝিতে।
কে মোরে ফিরাবে অনাদরে কে মোরে ডাকিবে কাছে,
কাহার প্রেমের বেদনায় আমার মূল্য আছে—
এ নিরন্তর সংশয়ে আর পারি নে যুঝিতে।
তোমারেই শুধু পেরেছি বুঝিতে।
প্রস্থান
[শান্তা] হায় হতভাগিনী,
স্রোতে বৃথা গেল ভেসে, কুলে তরী লাগে নি, লাগে নি।
কাটালি বেলা বীণাতে সুর বেঁধে—
কঠিন টানে উঠল কেঁদে,
ছিন্ন তারে থেমে গেল-যে রাগিণী।