আর্তের ক্রন্দনে হেরো ব্যথিত বসুন্ধরা,
অন্যায়ের আক্রমণে বিষবাণে জর্জরা।
প্রবলের উৎপীড়নে কে বাঁচাবে দুর্বলেরে—
অপমানিতেরে কার দয়া বক্ষে লবে ডেকে।
প্রহরীদের প্রতি
শ্যামা। তোমাদের একি ভ্রান্তি—
কে ওই পুরুষ দেবকান্তি,
প্রহরী, মরি মরি—
এমন ক’রে কি ওকে বাঁধে।
দেখে যে আমার প্রাণ কাঁদে।
বন্দী করেছ কোন্ দোষে।
প্রহরী। চুরি হয়ে গেছে রাজকোষে—
চোর চাই যে ক’রেই হোক।
হোক-না সে যেই-কোনো লোক—
নহিলে মোদের যাবে মান।
শ্যামা। নির্দোষী বিদেশীর রাখো প্রাণ—
দুই দিন মাগিনু সময়।
প্রহরী। রাখিব তোমার অনুনয়।
দুই দিন কারাগারে রবে,
তার পর যা হয় তা হবে।
বজ্রসেন। এ কী খেলা, হে সুন্দরী, কিসের এ কৌতুক।
কেন দাও অপমানদুখ—
মোরে নিয়ে কেন, কেন এ কৌতুক।
শ্যামা। নহে নহে নহে এ কৌতুক।
মোর অঙ্গের স্বর্ণ-অলঙ্কার
সঁপি দিয়া, শৃঙ্খল তোমার
নিতে পারি নিজদেহে। তব অপমানে
মোর অন্তরাত্মা আজি অপমান মানে।