জীবনস্মৃতি’র ‘স্বাদেশিকতা অধ্যায়ে যেখানে রবীন্দ্রনাথ, ‘হিন্দুমেলা’ ও ‘স্বাদেশিকের সভা’[১] সম্বন্ধে লিখিয়াছেন সেখানে প্রসঙ্গক্রমে এই গানের প্রথম-দ্বিতীয় ছত্র উদ্ধত হইয়াছে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, রবীন্দ্রনাথের কোনো কাব্যগ্রন্থে এই গানটি এপর্যন্ত মুদ্রিত হয় নাই; ‘জীবনস্মৃতি' গ্রন্থেও রচয়িতা কে সে সম্বন্ধে কোনো কথাই নাই। অথচ, বাল্মীকিপ্রতিভা গীতিনাট্যে এক ডোরে বাঁধা আছি মোরা সকলে’ গানটির প্রথম ছত্রেই ইহার ভাবের ও ভাষার আশ্চর্য প্রতিধ্বনি আছে, দুটি গানের সুর ও প্রায় অভিন্ন।
‘ভারতী ও বালক’ পত্রের ১২৯৬ কার্তিক-সংখ্যায়, ৩৬৫ পৃষ্ঠায়, ‘স্নেহলতা’ গল্পে[২] ‘সঞ্জীবনী’ সভার মতোই একটি সভার বর্ণনায় এই গানটি আছে—
এক সূত্রে গাঁথিলাম সহস্র জীবন
জীবন মরণে রব শপথ বন্ধন।
ভারত মাতার তরে সঁপি এ প্রাণ
সাক্ষী পুণ্য তরবারি সাক্ষী ভগবান
প্রাণ খুলে আনন্দেতে গাও জয় গান
সহায় আছেন ধর্ম্ম কারে আর ভয়।
গীতবিতানে-সংকলিত রচনার সহিত ভাবে ও ভাষায় ইহার কতটা সাদৃশ্য তাহা ছাড়াও লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে, উক্ত কাহিনী-অনুসারে এই গানটির রচয়িতা চারু এখন ষোড়শবর্ষীয়