গ্রন্থপৰিচয় २०२१ ব্যতীত– রবীন্দ্রসংগীতে কথাও যেমন স্বরও তেমনি সর্বদাই রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব হষ্টি। তবে— কথা কও, কথা কও, অনাদি অতীত : ‘কথা ও কাহিনী'র প্রথম প্রবেশকের অংশবিশেষ : শিশিরকুমার ভাদুড়ী -কর্তৃক প্রযোজিত ও অভিনীত ‘সীতা’ নাটকের স্বচনায় তবে আমি যাই গো তবে যাই : ‘শিশু’ কাব্যের ‘বিদায়’ কবিতা দিনের শেষে ঘুমের দেশে : 'খেয়া'র প্রথম কবিতা পথের পথিক করেছ আমায় : উৎসর্গ হে মোর দুর্ভাগা দেশ : গীতাঞ্জলি এই গানগুলি সময়বিশেষে প্রচলিত বা জাদৃত হইলেও, এগুলির কোনটিতেই কবি সুর না দেওয়াতে, এগুলিকে রবীন্দ্রসংগীত বলিয়া গণনা করা সম্ভবপর হয় নাই। অন্তের যে-সব রচনায় রবীন্দ্রনাথ স্বর আরোপ করিয়াছেন ২১সেগুলির fmaumabuάüπωmmu ২১ এই প্রসঙ্গে গীতবিতান বার্ষিকী’তে ( ১৩e • ) মুদ্রিত শ্ৰীনির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘রবীন্দ্রগীতজিজ্ঞাসা’ প্রবন্ধ বিশেষভাবে দ্রষ্টব্য। স্বহাসচন্দ্র মজুমদার বলেন যে, বাল্যকালে দেখিয়াছেন ‘ভারতীয় সঙ্গীত সমাজ’ যে বার মনোমোহন রায় -প্রণীত ‘রিজিয়া’ নাটকের অভিনয় করান তাহার রিহার্সালে রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত আসিতেন এবং গানও শিখাইতেন ; কয়েকটি গানের স্বর নাকি কবি স্বয়ং রচনা করেন, ‘থিয়েটারি’ স্বর হইতে সেই-সব স্বরের বিশেষ পার্থক্য আছে। স্বহাসবাবুর উক্তি, রিহার্সালের সাক্ষী ও শ্রোতা তাহার মাতুল ঐনিত্যরঞ্জন মল্লিক ও ঐসত্যরঞ্জন মল্লিক মহাশয়ের সমর্থন করেন। রিজিয়া' নাটকের ব্রজবুলিতে রচিত একটি গানে (বধুয়া, মুধা ঢালয়ি পরাণে ইত্যাদি ) কয়েক স্থলে ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীর স্পষ্ট প্রভাব দেখা যায় এবং বাংলা ১৩১ • সনে প্রচারিত এই গ্রন্থের প্রথম সংস্করণেই এ যেমন বিজ্ঞাপিত হইতে দেখি যে ‘বিশেষ আনন্দের সহিত প্রকাশ করিতেছি যে, রিজিয়া “ভারতীয় সঙ্গীত-সমাজ” কর্তৃক অভিনয়ার্থ মনোনীত হইয়াছে’, দ্বিতীয় সংস্করণের বিজ্ঞাপনে তেমনি মহাসমারোহে ঐ প্রতিষ্ঠানে অভিনীত হওয়ার সংবাদও দেওয়া হইয়াছে। g
পাতা:গীতবিতান.djvu/১১৫৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।