যে দেখে সে আজ মাগে-যে হিসাব, কেহ নাহি করে ক্ষমা
এ বোঝা আমার নামাও বন্ধু, নামাও—
ভারের বেগেতে ঠেলিয়া চলেছি, এ যাত্রা মোর থামাও।
১০১
দাঁড়াও আমার আঁখির আগে।
তোমার দৃষ্টি হৃদয়ে লাগে।
সমুখ-আকাশে চরাচরলোকে এই অপরূপ আকুল আলোকে দাঁড়াও হে,
আমার পরান পলকে পলকে চোখে চোখে তব দরশ মাগে।
এই-যে ধরণী চেয়ে ব’সে আছে ইহার মাধুরী বাড়াও হে।
ধুলায় বিছানো শ্যাম অঞ্চলে দাঁড়াও হে নাথ, দাঁড়াও হে।
যাহা-কিছু আছে সকলই ঝাঁপিয়া, ভুবন ছাপিয়া, জীবন ব্যাপিয়া দাঁড়াও হে।
দাঁড়াও যেখানে বিরহী এ হিয়া তোমারি লাগিয়া একেলা জাগে।
১০২
যদি এ আমার হৃদয়দুয়ার বন্ধ রহে গো কভু
দ্বার ভেঙে তুমি এসো মোর প্রাণে, ফিরিয়া যেয়ো না প্রভু।
যদি কোনো দিন এ বীণার তারে তব প্রিয়নাম নাহি ঝঙ্কারে
দয়া ক’রে তবু রহিয়ো দাঁড়ায়ে, ফিরিয়া যেয়ো না প্রভু।
যদি কোনো দিন তোমার আহ্বানে সুপ্তি আমার চেতনা না মানে
বজ্রবেদনে জাগায়ো আমারে, ফিরিয়া যেয়োনা প্রভু।
যদি কোনো দিন তোমার আসনে আর-কাহারেও বসাই যতনে,
চিরদিবসের হে রাজা আমার, ফিরিয়া যেয়ো না প্রভু।
১০৩
তোমারি রাগিণী,জীবনকুঞ্জে বাজে যেন সদা বাজে গো।
তোমারি আসন হৃদয়পদ্মে রাজে যেন সদা রাজে গো।
তব নন্দনগন্ধমোদিত ফিরি সুন্দর ভুবনে
তব পদরেণু মাখি লয়ে তনু সাজে যেন সদা সাজে গো।