কোণে কোণে যত লুকানো আঁধার মিলাবে ধন্য হয়ে,
তোমারি পুণ্য আলোকে বসিয়া সবারে বাসিব ভালো হে।
পরশমণির প্রদীপ তোমার, অচপল তার জ্যোতি
সোনা ক’রে সবে পলকে আমার সকল কলঙ্ক কালো।
আমি যত দীপ জ্বালিয়াছি তাহে শুধু জ্বালা, শুধু কালী—
আমার ঘরের দুয়ারে শিয়রে তোমারি কিরণ ঢালো হে।
১০৭
সংসারে তুমি রাখিলে মোরে যে ঘরে
সেই ঘরে রব সকল দুঃখ ভুলিয়া।
করুণা করিয়া নিশিদিন নিজ করে
রাখিয়ো তাহার একটি দুয়ার খুলিয়া।
মোর সব কাজে মোর সব অবসরে
সে দুয়ার রবে তোমারি প্রবেশ তরে,
সেথা হতে বায়ু বহিবে হৃদয় ’পরে
চরণ হইতে তব পদধূলি তুলিয়া।
যত আশ্রয় ভেঙে ভেঙে যায়, স্বামী,
এক আশ্রয়ে রহে যেন চিত লাগিয়া।
যে অনলতাপ যখনি সহিব আমি
এক নাম বুকে বার বার দেয় দাগিয়া।
যবে দুখদিনে শোকতাপ আসে প্রাণে
তোমারি আদেশ বহিয়া যেন সে আনে,
পরুষ বচন যতই আঘাত হানে
সকল আঘাতে তব সুর উঠে জাগিয়া।
১০৮
আমার মুখের কথা তোমার নাম দিয়ে দাও ধুয়ে,
আমার নীরবতায় তোমার নামটি রাখো থুয়ে।