পাতা:গীতবিতান.djvu/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পূজা
৬১

দুখের পরে পরম দুখে তারি চরণ বাজে বুকে,
সুখে কখন বুলিয়ে সে দেয় পরশমণি।
সে যে আসে, আসে, আসে।

১৩১

হে অন্তরের ধন,
তুমি যে বিরহী, তোমার শূন্য এ ভবন।
আমার ঘরে তোমায় আমি একা রেখে দিলাম স্বামী—
কোথায় যে বাহিরে আমি ঘুরি সকল ক্ষণ।
হে অন্তরের ধন,
এই বিরহে কাঁদে আমার নিখিল ভুবন।
তোমার বাঁশি নানা সুরে আমায় খুঁজে বেড়ায় দূরে,
পাগল হল বসন্তের এই দখিন-সমীরণ।

১৩২

তোমার পূজার ছলে তোমায় ভুলেই থাকি।
বুঝতে নারি কখন তুমি দাও-যে ফাঁকি।
ফুলের মালা দীপের আলো ধূপের ধোঁওয়ার
পিছন হতে পাই নে সুযোগ চরণ-ছোঁওয়ার,
স্তবের বাণীর আড়াল টানি তোমায় ঢাকি।
দেখব ব’লে এই আয়োজন মিথ্যা রাখি,
আছে তো মোর তৃষা-কাতর আপন আঁখি।
কাজ কী আমার মন্দিরেতে আনাগোনায়—
পাতব আসন আপন মনের একটি কোণায়,
সরল প্রাণে নীরব হয়ে তোমায় ডাকি।

১৩৩

নীরবে আছ কেন বাহিরদুয়ারে—
আঁধার লাগে চোখে, দেখি না তুহারে।