আমার দিন কেটে গেছে কখনো খেলায়, কখনো কত কী কাজে।
এখন কী শুনি পুরবীর সুরে কোন্ দূরে বাঁশি বাজে।
বুঝি দেরি নাই, আসে বুঝি আসে, আলোকের আভা লেগেছে আকাশে—
বেলাশেষে মোরে কে সাজাবে, ওরে, নবমিলনের সাজে!
সারা হল কাজ, মিছে কেন আজ ডাক মোরে আর কাজে।
আমি জানি যে আমার হয়ে গেছে গণা গোধূলিলগন রে।
ধূসর আলোকে মুদিবে নয়ন অস্তগগন রে।
তখন এ ঘরে কে খুলিবে দ্বার, কে লইবে টানি বাহু আমার,
আমায় কে জানে কী মন্ত্রে গানে করিবে মগন রে—
সব গান সেরে আসিবে যখন গোধূলিলগন রে।
১৪২
নাই বা ডাকো রইব তোমার দ্বারে,
মুখ ফিরালে ফিরব না এইবারে।
বসব তোমার পথের ধুলার ’পরে,
এড়িয়ে আমায় চলবে কেমন করে—
তোমার তরে যে জন গাঁথে মালা
গানের কুসুম জুগিয়ে দেব তারে।
রইব তোমার ফসল-খেতের কাছে
যেথায় তোমার পায়ের চিহ্ন আছে।
জেগে রব গভীর উপবাসে
অন্ন তোমার আপনি যেথায় আসে—
যেথায় তুমি লুকিয়ে প্রদীপ জ্বালো
বসে রব সেথায় অন্ধকারে।
১৪৩
সকাল-সাঁজে
ধায় যে ওরা নানা কাজে।
আমি কেবল বসে আছি, আপন মনে কাঁটা বাছি