চেয়ে আছিস আপন-মনে— ওই যে দূরে গগন-কোণে
রাত্রি মেলে রাঙা নয়ন রুদ্রদেবের দীপ্তালোকে।
রক্তশতদলের সাজি
সাজিয়ে কেন রাখিস আজি?
কোন্ সাহসে একেবারে শিকল খুলে দিলি দ্বারে—
জোড়হাতে তুই ডাকিস কারে, প্রলয় যে তোর ঘরে ঢোকে॥
২১৪
আঘাত করে নিলে জিনে,
কাড়িলে মন দিনে দিনে॥
সুখের বাধা ভেঙে ফেলে তবে আমার প্রাণে এলে—
বারে বারে মরার মুখে অনেক দুখে নিলেম চিনে॥
তুফান দেখে ঝড়ের রাতে
ছেড়েছি হাল তোমার হাতে।
বাটের মাঝে, হাটের মাঝে, কোথাও আমায় ছাড়লে না-যে—
যখন আমার সব বিকালো তখন আমায় নিলে কিনে॥
২১৫
ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর,
তোমার প্রেম তোমারে এমন ক’রে করেছে নিষ্ঠুর॥
তুমি বসে থাকতে দেবে না যে, দিবানিশি তাই তো বাজে
পরান-মাঝে এমন কঠিন সুর॥
ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর,
তোমার লাগি দুঃখ আমার হয় যেন মধুর।
তোমার খোঁজা খোঁজায় মোরে, তোমার বেদন কাঁদায় ওরে,
আরাম যত করে কোথায় দূর॥
২১৬
সুখে আমায় রাখবে কেন, রাখো তোমার কোলে।
যাক-না গো সুখ জ্বলে॥