পাতা:গীতবিতান.djvu/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় খণ্ডের সংযোজন ১৩৫৭ অশ্বিনে গীতবিতানের তৃতীয় খণ্ড প্রকাশের পর কয়েকটি বিরলপ্রচারিত গানের সন্ধান পাওয়া গিয়াছিল; ১৩৫৮ আশ্বিনে দ্বিতীয় খণ্ডের পুনৰ্বমুদ্রণকালে সেগুলি সংকলিত— বিশ্বরাজালয়ে বিশ্ববীণা বাজিছে ॥ ১৩০২ সালের মাঘোৎসবে গাওয়া হইয়াছিল মনে হয়, ১৮১৭ শকের ফাঙ্কন-সংখ্যা “তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা'তে ও পরবর্তী একাধিক ব্রহ্মসঙ্গীত-সংকলনে প্রকাশিত। এই গানের সপ্তম ছত্রের প্রথমে “শুনি রে’ বাক্যাংশটি তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় না থাকিলেও, শ্রদ্ধেয়া ইন্দিরাদেবী মনে করেন, প্রচলিত গানের অনুরূপ অংশের অনুসরণে থাকাই প্রশস্ত। দ্রষ্টব্য পৃ. ৬১৫ দিনের বিচার করো। পূরবী-একতালা। আদিব্রাহ্মসমাজের একটি পুরাতন অনুষ্ঠানপত্র ( ১১ মাঘ, ব্রাহ্ম সম্বৎ ৭০ । বাংলা ১৩০৬ ) হইতে সংকলিত । ‘আমার বিচার তুমি করে আপন করে’ গানটির সহিত তুলনীয়। কেবল পাঠভেদ নয়, স্বরভেদের জন্য পৃথক গান বলিতে হয়। দ্রষ্টব্য পৃ. ৬১৫ তোমার আনন্দ ওই গো । ‘আনন্দসঙ্গীত পত্রিকা’য় স্বরলিপির সহিত প্রকাশিত আখর-যুক্ত পাঠ ৬১৬ পৃষ্ঠায় সংকলিত হইল । আমি শ্রাবণ-আকাশে ওই ॥ ১৩৪৪ সালে শান্তিনিকেতনে যে বর্ষামঙ্গলউৎসব অনুষ্ঠিত হয় তদুপলক্ষে রচিত। কলিকাতায় পুনরমুষ্ঠান (ভাদ্র ১৩৪৪ ) উপলক্ষে কবি উল্লিখিত গানটির একটি আখর-সমৃদ্ধ কুণ কল্পনা করেন; কিন্তু তেমন সময় না থাকায়, সকলকে শিখাইয়া সাধারণ-সমক্ষে গাওয়াইতে পারেন নাই। পরবর্তী কালেও এ গানটি অল্পই গাওয়া হইয়াছে। শ্ৰীশান্তিদেব ঘোষের সৌজন্যে এই গানের সন্ধান পাওয়া গেল ; শ্রীশৈলজারঞ্জন মজুমদারের সৌজন্যে ইহার বিস্তারিত পাঠ স্থির করা হইয়াছে। দ্রষ্টব্য পৃ. ৬০৫ সন্ন্যাসী যে জাগিল ওই ॥ বনবাণী’ কাব্যের নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা’ অংশের উৎসব’-শীর্ষক কবিতা। রচনাকাল অগ্রহায়ণ ১৩৩৪ । ১৩৪৫ সালের ১৮ ফাঙ্কনে কবি ইহার শেষ অংশে ( এসেছে হাওয়া বাণীতে দৌল-দোলানো ইত্যাদি ) প্রথমেই একটি স্বর দেন। পরে রচনাটির প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত অন্য একটি স্বর দেন। শ্রশাস্তিদেব ঘোষ ও শ্রীশৈলজারঞ্জন মজুমদারের সৌজন্যে ইহ। গান বলিয়। জানা গিয়াছে এবং ইহাতে সুর-সংযোগে কালনির্ণয় সম্ভবপর হইয়াছে। দ্রষ্টব্য পৃ. ৬০৬ [ St J