২৬৬
মন, জাগ’ মঙ্গললোকে অমল অমৃতময় নব আলোকে
জ্যোতিবিভাসিত চোখে॥
হের’ গগন ভরি জাগে সুন্দর, জাগে তরঙ্গে জীবনসাগর—
নির্মল প্রাতে বিশ্বের সাথে জাগ’ অভয় অশোকে॥
২৬৭
ভোরের বেলা কখন এসে পরশ করে গেছ হেসে॥
আমার ঘুমের দুয়ার ঠেলে কে সেই খবর দিল মেলে—
জেগে দেখি আমার আঁখি আঁখির জলে গেছে ভেসে॥
মনে হল আকাশ যেন কইল কথা কানে কানে।
মনে হল সকল দেহ পূর্ণ হল গানে গানে।
হৃদয় যেন শিশিরনত ফুটল পূজার ফুলের মতো—
জীবননদী কুল ছাপিয়ে ছড়িয়ে গেল অসীমদেশে॥
২৬৮
এখনো ঘোর ভাঙে না তোর যে, মেলে না তোর আঁখি—
কাঁটার বনে ফুল ফুটেছে রে জানিস নে তুই তা কি?
ওরে অলস, জানিস নে তুই তা কি?
জাগো এবার জাগো, বেলা কাটাস না গো॥
কঠিন পথের শেষে কোথায় অগম বিজন দেশে
ও সেই বন্ধু আমার একলা আছে গো, দিস্ নে তারে ফাঁকি
প্রখর রবির তাপে নাহয় শুষ্ক গগন কঁপে,
নাহয় দগ্ধ বালু তপ্ত আঁচলে দিক চারি দিক ঢাকি—
পিপাসাতে দিক চারি দিক ঢাকি।
মনের মাঝে চাহি দেখ্ রে আনন্দ কি নাহি।
পথে পায়ে পায়ে দুখের বাঁশরি বাজবে তোরে ডাকি—
মধুর সুরে বাজবে তোরে ডাকি॥