কলুষ কল্মষ বিরোধ বিদ্বেষ হউক নির্মল, হউক নিঃশেষ—
চিত্তে হোক যত বিঘ্ন অপগত নিত্য কল্যাণকাজে।
স্বর তরঙ্গিয়া গাও বিহঙ্গম, পূর্বপশ্চিমবন্ধুসঙ্গম—
মৈত্রীবন্ধনপুণ্যমন্ত্র-পবিত্র বিশ্বসমাজে॥
৩০৪
কী গাব আমি, কী শুনাব, আজি আনন্দধামে।
পুরবাসী জনে এনেছি ডেকে তোমার অমৃতনামে॥
কেমনে বর্ণিব তোমার রচনা, কেমনে রটিব তোমার করুণা,
কেমনে গলাব হৃদয় প্রাণ তোমার মধুর প্রেমে॥
তব নাম লয়ে চন্দ্র তারা অসীম শূন্যে ধাইছে—
রবি হতে গ্রহে ঝরিছে প্রেম, গ্রহ হতে গ্রহে ছাইছে।
অসীম আকাশ নীলশতদল তোমার কিরণে সদা ঢলঢল,
তোমার অমৃতসাগর-মাঝারে ভাসিছে অবিরামে॥
৩০৫
সফল করো হে প্রভু আজি সভা, এ রজনী হোক মহোৎসবা॥
বাহির অন্তর ভুবনচরাচর মঙ্গলডোরে বাঁধি এক করো—
শুষ্ক হৃদয় করো প্রেমে সরসতর, শূন্য নয়নে আনো পুণ্যপ্রভা॥
অভয়দ্বার তব করো হে অবারিত, অমৃত-উৎস তব করো উৎসারিত,
গগনে গগনে করো প্রসারিত অতিবিচিত্র তব নিত্যশোভা।
সব ভকতে তব আনো এ পরিষদে, বিমুখ চিত্ত যত করো নত তব পদে,
রাজ-অধীশ্বর, তব চিরসম্পদে সব সম্পদ করো হতগরবা॥
৩০৬
হৃদিমন্দিরদ্বারে বাজে সুমঙ্গল শঙ্খ॥
শত মঙ্গলশিখা করে ভবন আলো,
উঠে নির্মল ফুলগন্ধ॥