পাতা:গীতবিতান.djvu/২৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
পূজা

৩২৯

এত আনন্দধ্বনি উঠিল কোথায়,
জগতপুরবাসী সবে কোথায় ধায়॥
কোন্ অমৃতধনের পেয়েছে সন্ধান,
কোন্ সুধা করে পান!
কোন্ আলোকে আঁধার দূরে যায়॥

৩৩০

আঁধার রজনী পোহালো, জগত পূরিল পুলকে।
বিমল প্রভাতকিরণে মিলিল দ্যুলোকে ভূলোকে॥
জগত নয়ন তুলিয়া হৃদয়দুয়ার খুলিয়া
হেরিছে হৃদয়নাথেরে আপন হৃদয়-আলোকে॥
প্রেমমুখহাসি তাঁহারি পড়িছে ধরার আননে—
কুসুম বিকশি উঠিছে, সমীর বহিছে কাননে।
সুধীরে আঁধার টুটিছে, দশ দিক ফুটে উঠিছে—
জননীর কোলে যেন রে জাগিছে বালিকা বালকে॥
জগত যে দিকে চাহিছে সে দিকে দেখিনু চাহিয়া,
হেরি সে অসীম মাধুরী হৃদয় উঠিছে গাহিয়া।
নবীন আলোকে ভাতিছে, নবীন আশায় মাতিছে,
নবীন জীবন লভিয়া জয়-জয় উঠে ত্রিলোকে॥

৩৩১

হৃদয়বাসনা পূর্ণ হল আজি মম পূর্ণ হল, শুন সবে জগতজনে॥
কী হেরিনু শোভা, নিখিলভুবননাথ
চিত্ত-মাঝে বসি স্থির আসনে॥

৩৩২

ক্ষত যত ক্ষতি যত মিছে হতে মিছে,
নিমেষের কুশাঙ্কুর পড়ে রবে নীচে॥