তৃণ যে এই ধুলার ’পরে পাতে আঁচলখানি,
এই-যে আকাশ চিরনীরব অমৃতময় বাণী,
ফুল যে আসে দিনে দিনে বিনা রেখার পথটি চিনে,
এই-যে ভুবন দিকে দিকে পুরায় কত সাধ—
তোমার আশীর্বাদ, হে প্রভু, তোমার আশীর্বাদ॥
৩৫৬
আপন হতে বাহির হয়ে বাইরে দাঁড়া,
বুকের মাঝে বিশ্বলোকের পারি সাড়া॥
এই-যে বিপুল ঢেউ লেগেছে তোর মাঝেতে উঠুক নেচে;
সকল পরান দিক-না নাড়া॥
বোস্-না ভ্রমর, এই নীলিমায় আসন লয়ে
অরুণ-আলোর স্বর্ণরেণু-মাখা হয়ে।
যেখানেতে অগাধ ছুটি মেল সেথা তোর ডানাদুটি,
সবার মাঝে পারি ছাড়া॥
৩৫৭
যে থাকে থাক-না দ্বারে, যে যাবি যা-না পারে॥
যদি ওই ভোরের পাখি তোরি নাম যায় রে ডাকি
একা তুই চলে যা রে॥
কুঁড়ি চায় আঁধার রাতে শিশিরের রসে মাতে।
ফোটা ফুল চায় না নিশা প্রাণে তার আলোর তৃষা,
কাঁদে সে অন্ধকারে॥
৩৫৮
আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায় ও কে!
সে সুধা ছড়িয়ে গেল লোকে লোকে॥
গাছেরা ভরে নিল সবুজ পাতায়,
ধরণী ধরে নিল আপন মাথায়।