৩৮৪
আরো চাই যে, আরো চাই গো— আরো যে চাই।
ভাণ্ডারী যে সুধা আমায় বিতরে নাই॥
সকালবেলার আলোয় ভরা এই-যে আকাশ বসুন্ধরা
এরে আমার জীবন-মাঝে কুড়ানো চাই—
সকল ধন যে বাইরে আমার, ভিতরে নাই।
প্রাণের বীণায় আরো আঘাত, আরো যে চাই।
গুণীর পরশ পেয়ে সে যে শিহরে নাই।
দিনরজনীর বাশি পূরে যে গান বাজে অসীম সুরে
তারে আমার প্রাণের তারে বাজানো চাই।
আপন গান যে দূরে তাহার, নিয়ড়ে নাই॥
৩৮৫
নয়ন ছেড়ে গেলে চলে, এলে সকল মাঝে—
তোমায় আমি হারাই যদি তুমি হারাও না যে॥
ফুরায় যবে মিলনরাতি তবু চির সাথের সাথি
ফুরায় না তো তোমায় পাওয়া, এসো স্বপনসাজে।
তোমার সুধারসের ধারা গহনপথে এসে
ব্যথারে মোর মধুর করি নয়নে যায় ভেসে।
শ্রবণে মোর নব নব শুনিয়েছিলে যে সুর তব
বীণা থেকে বিদায় নিল, চিত্তে আমার বাজে॥
৩৮৬
আরাম-ভাঙা উদাস সুরে
আমার বাঁশির শূন্য হৃদয় কে দিল আজ ব্যথায় পূরে॥
বিরামহারা ঘরছাড়াকে ব্যাকুল বাঁশি আপনি ডাকে—
ডাকে স্বপন-জাগরণে, কাছের থেকে ডাকে দূরে॥
আমার প্রাণের কোন্ নিভৃতে লুকিয়ে কাঁদায় গোধূলিতে—