চিত্ত না শান্তি জানে, তৃষ্ণা না তৃপ্তি মানে—
যাহা পাই তাই হারাই, ভাসি অশ্রুধারে॥
সকল যাত্রী চলি গেল, বহি গেল সব বেলা,
আসে তিমিরযামিনী, ভাঙিয়া গেল মেলা—
কত পথ আছে বাকি, যাব চলি ভিক্ষা রাখি,
কোথা জ্বলে গৃহপ্রদীপ কোন্ সিন্ধুপারে॥
৪০১
হৃদয়বেদনা বহিয়া, প্রভু, এসেছি তব দ্বারে।
তুমি অন্তর্যামী হৃদয়স্বামী, সকলই জানিছ হে—
যত দুঃখ লাজ দারিদ্র্য সঙ্কট আর জানাইব কারে?
অপরাধ কত করেছি, নাথ, মোহপাশে প’ড়ে—
তুমি ছাড়া, প্রভু, মার্জনা কেহ করিবে না সংসারে॥
সব বাসনা দিব বিসর্জন তোমার প্রেমপাথারে,
সব বিরহ বিচ্ছেদ ভুলিব তব মিলন-অমৃতধারে।
আর আপন ভাবনা পারি না ভাবিতে, তুমি লহো মোর ভার—
পরিশ্রান্ত জনে, প্রভু, লয়ে যাও সংসারসাগরপারে॥
৪০২
কেন জাগে না, জাগে না অবশ পরান—
নিশিদিন অচেতন ধূলিশয়ান?
জাগিছে তারা নিশীথ-আকাশে,
জাগিছে শত অনিমেষ নয়ান॥
বিহগ গাহে বনে ফুটে ফুলরাশি,
চন্দ্রমা হাসে সুধাময় হাসি—
তব মাধুরী কেন জাগে না প্রাণে?
কেন হেরি না তব প্রেমবয়ান?
পাই জননীর অযাচিত স্নেহ,
ভাই ভগিনী মিলি মধুময় গেহ