৫৩১
তোমায় চেয়ে আছি বসে পথের ধারে সুন্দর হে
জমল ধুলা প্রাণের বীণার তারে তারে সুন্দর হে॥
নাই যে কুসুম, মালা গাঁথব কিসে! কান্নার গান বীণায় এনেছি যে,
দূর হতে তাই শুনতে পাবে অন্ধকারে সুন্দর হে॥
দিনের পরে দিন কেটে যায় সুন্দর হে।
মরে হৃদয় কোন্ পিপাসায় সুন্দর হে।
শূন্য ঘাটে আমি কী-যে করি— রঙিন পালে কবে আসবে তরী,
পাড়ি দেব কবে সুধারসের পারাবারে সুন্দর হে॥
৫৩২
তুমি সুন্দর, যৌবনঘন রসময় তব মূর্তি,
দৈন্যভরণ বৈভব তব অপচয়পরিপূর্তি॥
নৃত্য গীত কাব্যছন্দ কলগুঞ্জন বর্ণ গন্ধ—
মরণহীন চিরনবীন তব মহিমাস্ফুর্তি॥
৫৩৩
ওই মরণের সাগরপারে চুপে চুপে
এলে তুমি ভুবনমোহন স্বপনরূপে॥
কান্না আমার সারা প্রহর তোমায় ডেকে
ঘুরেছিল চারি দিকের বাধায় ঠেকে,
বন্ধ ছিলেম এই জীবনের অন্ধকূপে—
আজ এসেছ ভুবনমোহন স্বপনরূপে॥
আজ কী দেখি কালো চুলের আঁধার ঢালা,
তারি স্তরে স্তরে সন্ধ্যাতারার মানিক জ্বালা।
আকাশ আজি গানের ব্যথায় ভরে আছে,
ঝিল্লিরবে কাঁপে তোমার পায়ের কাছে,
বন্দনা তোর পুষ্পবনের গন্ধধূপে—
আজ এসেছ ভুবনমোহন স্বপনরূপে॥