৫৭১
তুমি হঠাৎ-হাওয়ায় ভেসে-আসা ধন—
তাই হঠাৎ-পাওয়ায় চমকে ওঠে মন॥
গোপন পথে আপন-মনে বাহির হও যে কোন্ লগনে,
হঠাৎ-গছে মাতাও সমীরণ॥
নিত্য যেথায় আনাগোনা হয় না সেথায় চেনাশোনা,
উড়িয়ে ধুলো আসছে কতই জন।
কখন পথের বাহির থেকে হঠাৎ-বাঁশি যায় যে ডেকে,
পথহারাকে করে সচেতন॥
৫৭২
পথে চলে যেতে যেতে কোথা কোন্খানে
তোমার পরশ আসে কখন কে জানে॥
কী অচেনা কুসুমের গন্ধে, কী গোপন আপন আনন্দে,
কোন্ পথিকের কোন্ গানে॥
সহসা দারুণ দুখতাপে সকল ভুবন যবে কাঁপে,
সকল পথের ঘোচে চিহ্ন সকল বাঁধন যবে ছিন্ন
মৃত্যু-আঘাত লাগে প্রাণে—
তোমার পরশ আসে কখন কে জানে॥
৫৭৩
আমার ভাঙা পথের রাঙা ধুলায় পড়েছে কার পায়ের চিহ্ন!
তারি গলার মালা হতে পাপড়ি হোথা লুটায় ছিন্ন॥
এল যখন সাড়াটি নাই, গেল চলে জানালো তাই—
এমন ক’রে আমারে হায় কে বা কাঁদায় সে জন ভিন্ন॥
তখন তরুণ ছিল অরুণ আলো, পথটি ছিল কুসুমকীর্ণ।
বসন্ত যে রঙিন বেশে ধরায় সে দিন অবতীর্ণ।
সে দিন খবর মিলল না যে, রইনু বসে ঘরের মাঝে—
আজকে পথে বাহির হব বহি আমার জীবন জীর্ণ॥