৩৬
রইল বলে রাখলে কারে, হুকুম তোমার ফলবে কবে?
তোমার টানাটানি টিঁকবে না ভাই, রবার যেটা সেটাই হবে॥
যা-খুশি তাই করতে পারো গায়ের জোরে রাখো মারো—
যাঁর গায়ে সব ব্যথা বাজে তিনি যা সন সেটাই সবে॥
অনেক তোমার টাকা কড়ি, অনেক দড়া অনেক দড়ি,
অনেক অশ্ব অনেক করী— অনেক তোমার আছে ভবে।
ভাবছ হবে তুমিই যা চাও, জগৎটাকে তুমিই নাচাও—
দেখবে হঠাৎ নয়ন খুলে হয় না যেটা সেটাও হবে॥
৩৭
জননীর দ্বারে আজি ওই শুন গো শঙ্খ বাজে।
থেকো না থেকো না, ওরে ভাই, মগন মিথ্যা কাজে॥
অর্ঘ্য ভরিয়া আনি ধরো গো পূজার থালি,
রতনপ্রদীপখানি যতনে আনো গো জ্বালি,
ভরি লয়ে দুই পাণি বহি আনো ফুলডালি,
মার আহ্বানবাণী রটাও ভুবনমাঝে॥
আজি প্রসন্ন পবনে নবীন জীবন ছুটিছে।
আজি প্রফুল্ল কুসুমে নব সুগন্ধ উঠিছে।
আজি উজ্জ্বল ভালে তোলো উন্নত মাথা,
নবসঙ্গীততালে গাও গম্ভীর গাথা,
পরো মাল্য কপালে নবপল্লব-গাঁথা,
শুভ সুন্দর কালে সাজো সাজো নব সাজে॥
৩৮
আজি এ ভারত লজ্জিত হে,
হীনতাপঙ্কে মজ্জিত হে॥
নাহি পৌরুষ, নাহি বিচারণা, কঠিন তপস্যা, সত্যসাধনা—
অন্তরে বাহিরে ধর্মে কর্মে সকলই ব্রহ্মবিবর্জিত হে॥