যে কথা তোমার কোনো দিন আর হয় নি বলা
নাহি জানি কারে তাই বলিবারে করে উতলা!
দখিনপবনে বিহ্বলা ধরা কাকলিকূজনে হয়েছে মুখরা,
আজি নিখিলের বাণীমন্দিরে খুলেছে দ্বার॥
৪
যে ছায়ারে ধরব বলে করেছিলেম পণ
আজ সে মেনে নিল আমার গানেরই বন্ধন॥
আকাশে যার পরশ মিলায় শরতমেঘের ক্ষণিক লীলায়
আপন সুরে আজ শুনি তার নূপুরগুঞ্জন॥
অলস দিনের হাওয়ায়
গন্ধখানি মেলে যেত গােপন আসা-যাওয়ায়।
আজ শরতের ছায়ানটে মাের রাগিণীর মিলন ঘটে,
সেই মিলনের তালে তালে বাজায় সে কঙ্কণ॥
৫
গানগুলি মাের শৈবালেরই দল—
ওরা বন্যাধারায় পথ যে হারায়
উদ্দাম চঞ্চল॥
ওরা কেনই আসে যায় বা চলে, অকারণের হাওয়ায় দোলে—
চিহ্ন কিছুই যায় না রেখে, পায় না কোন ফল॥
ওদের সাধন তাে নাই, কিছু সাধন তো নাই,
ওদের বাঁধন তাে নাই, কোনাে বাঁধন তো নাই।
উদাস ওরা উদাস করে গৃহহারা পথের স্বরে,
ভুলে-যাওয়ার স্রোতের ’পরে করে টলােমল॥
৬
তোমায় গান শোনাব তাই তো আমায় জাগিয়ে রাখ
ওগো ঘুম-ভাঙানিয়া।