৩২
সুন্দর হৃদিরঞ্জন তুমি নন্দনফুলহার,
তুমি অনন্ত নববসন্ত অন্তরে আমার।
নীল অম্বর চুম্বননত, চরণে ধরণী মুগ্ধ নিয়ত,
অঞ্চল ঘেরি সঙ্গীত যত গুঞ্জরে শতবার।
ঝলকিছে কত ইন্দুকিরণ, পুলকিছে ফুলগন্ধ—
চরণভঙ্গে ললিত অঙ্গে চমকে চকিত ছন্দ।
ছিঁড়ি মর্মের শত বন্ধন তোমা-পানে ধায় যত ক্রন্দন—
লহো হৃদয়ের ফুলচন্দন বন্দন-উপহার।
৩৩
আমারে করো তোমার বীণা, লহো গো লহো তুলে।
উঠিবে বাজি তন্ত্রীরাজি মোহন অঙ্গুলে।
কোমল তব কমলকরে, পরশ করো পরান-’পরে,
উঠিবে হিয়া গুঞ্জরিয়া তব শ্রবণমূলে।
কখনো সুখে কখনো দুখে কাঁদিবে চাহি তোমার মুখে,
চরণে পড়ি রবে নীরবে রহিবে যবে ভুলে।
কেহ না জানে কী নব তানে উঠিবে গীত শূন্য-পানে,
আনন্দের বারতা যাবে অনন্তের কূলে।
৩৪
ভালোবেসে, সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো— তোমার
মনের মন্দিরে।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো— তোমার
চরণমঞ্জীরে।
ধরিয়া রাখিয়ো সোহাগে আদরে
আমার মূখর পাখি— তোমার