৫৯
মরি লো মরি, আমায় বাঁশিতে ডেকেছে কে।
ভেবেছিলেম ঘরে রব, কোথাও যাব না—
ওই-যে বাহিরে বাজিল বাঁশি, বলো কী করি।
শুনেছি কোন্ কুঞ্জবনে যমুনাতীরে
সাঁঝের বেলায় বাজে বাঁশি ধীর সমীরে—
ওগো, তোরা জানিস যদি আমায় পথ বলে দে।
দেখি গে তার মুখের হাসি,
তারে ফুলের মালা পরিয়ে আসি,
তারে বলে আসি তোমার বাঁশি
আমার প্রাণে বেজেছে’।
৬০
এবার উজাড় করে লও হে আমার যা-কিছু সম্বল।
ফিরে চাও, ফিরে চাও, ফিরে চাও ওগো চঞ্চল।
চৈত্ররাতের বেলায় নাহয় এক প্রহরের খেলায়
আমার স্বপনস্বরূপিণী প্রাণে দাও পেতে অঞ্চল।
যদি এই ছিল গো মনে,
যদি পরম দিনের স্মরণ ঘুচাও চরম অযতনে,
তবে ভাঙা খেলার ঘরে, নাহয় দাঁড়াও ক্ষণেক-তরে—
সেথা ধুলায় ধুলায় ছড়াও হেলায় ছিন্ন ফুলের দল।
৬১
সখী, প্রতিদিন হায় এসে ফিরে যায় কে।
তারে আমার মাথার একটি কুসুম দে।
যদি শুধায় কে দিল কোন্ ফুলকাননে
মোর শপথ, আমার নামটি বলিস নে।