এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩১৮
প্রেম
সে যে চিরদিবসেরই, নূতন তাহারে হেরি—
বাতাস সে মুখ ঘেরি মাতে গুঞ্জনগানে॥
পুরাতন বীণাখানি ফিরে পেল হারা বাণী।
নীলাকাশ শ্যামধরা পরশে তাহারি ভরা—
ধরা দিল অগোচরা নব নব সুরে তানে॥
১১৯
ও যে মানে না মানা।
আঁখি ফিরাইলে বলে, ‘না, না, না।’
যত বলি ‘নাই রাতি— মলিন হয়েছে বাতি’
মুখপানে চেয়ে বলে, ‘না, না, না।’
বিধুর বিকল হয়ে খেপা পবনে
ফাগুন করিছে হা-হা ফুলের বনে।
আমি যত বলি ‘তবে এবার যে যেতে হবে’
দুয়ারে দাঁড়ায়ে বলে, ‘না, না, না।’
১২০
মান অভিমান ভাসিয়ে দিয়ে এগিয়ে নিয়ে আয়—
তারে এগিয়ে নিয়ে আয়॥
চোখের জলে মিশিয়ে হাসি ঢেলে দে তার পায়—
ওরে, ঢেলে দে তার পায়॥
আসছে পথে ছায়া পড়ে, আকাশ এল আঁধার করে,
শুষ্ক কুসুম পড়ছে ঝরে, সময় বহে যায়—
ওরে সময় বহে যায়॥
১২১
তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা,
এ সমুদ্রে আর কভু হব নাকো পথহারা॥