নানা কাজে নানা মতে ফিরি ঘরে, ফিরি পথে—
সে কথা কি অগোচরে বাজে ক্ষণে ক্ষণে। কী জানি, কী জানি॥
সে কথা কি অকারণে ব্যথিছে হৃদয়, একি ভয়, একি জয়।
সে কথা কি কানে কানে বারে বারে কয় ‘আর নয়’ ‘আর নয়’।
সে কথা কি নানা সুরে বলে মোরে ‘চলো দূরে’—
সে কি বাজে বুকে মম, বাজে কি গগনে। কী জানি, কী জানি॥
১২৮
মাের স্বপন-তরীর কে তুই নেয়ে।
লাগল পালে নেশার হাওয়া, পাগল পরান চলে গেয়ে॥
আমায় ভুলিয়ে দিয়ে যা তাের দুলিয়ে দিয়ে না,
ও তাের সুদূর ঘাটে চল্ রে বেয়ে॥
আমার ভাবনা তো সব মিছে, আমার সব পড়ে থাক্ পিছে।
তােমার ঘােমটা খুলে দাও, তােমার নয়ন তুলে চাও,
দাও হাসিতে মাের পরান ছেয়ে॥
১২৯
ভালােবাসি, ভালােবাসি—
এই সুরে কাছে দূরে জলে স্থলে বাজায় বাঁশি॥
আকাশে কার বুকের মাঝে ব্যথা বাজে,
দিগন্তে কার কালাে আঁখি আঁখির জলে যায় ভাসি॥
সেই সুরে সাগরকূলে বাঁধন খুলে
অতল রােদন উঠে দুলে।
সেই সুরে বাজে মনে অকারণে
ভুলে-যাওয়া গানের বাণী, ভােলা দিনের কাঁদন-হাসি॥
১৩০
এবার মিলন-হাওয়ায়-হাওয়ায় হেলতে হবে।
ধরা দেবার খেলা এবার খেলতে হবে॥