১৪০
সে আসে ধীরে,
যায় লাজে ফিরে।
রিনিকি রিনিকি রিনিঝিনি মঞ্জুু মঞ্জুু মঞ্জীরে
রিনিঝিনি-ঝিনীরে॥
বিকচ নীপকুঞ্জে নিবিড়তিমিরপুঞ্জে
কুন্তলফুলগন্ধ আসে অন্তরমন্দিরে
উম্মাদ সমীরে॥
শঙ্কিত চিত কম্পিত অতি, অঞ্চল উড়ে চঞ্চল।
পুষ্পিত তৃণবীথি, ঝঙ্কৃত বনগীতি—
কোমলপদপল্লবতলচুম্বিত ধরণীরে
নিকুঞ্জকুটীরে॥
১৪১
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি, আছে অন্তরে।
পরানে বসন্ত এল কার মন্তরে॥
মুঞ্জরিল শুষ্ক শাখী, কুহরিল মৌন পাখি,
বহিল আনন্দধারা মরুপ্রান্তরে॥
দুখেরে করি না ডর, বিরহে বেঁধেছি ঘর,
মনােকুঞ্জে মধুকর তবু গুঞ্জরে।
হৃদয়ে সুখের বাসা, মরমে অমর আশা,
চিরবন্দী ভালােবাসা প্রাণপিঞ্জরে॥
১৪২
আমার পরান যাহা চায় তুমি তাই, তুমি তাই গো।
তোমা ছাড়া আর এ জগতে মোর কেহ নাই, কিছু নাই গো॥
তুমি সুখ যদি নাহি পাও, যাও সুখের সন্ধানে যাও—
আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়মাঝে, আর কিছু নাহি চাই গো॥