আমি তোমার বিরহে রহিব বিলীন, তোমাতে করিব বাস
দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী, দীর্ঘ বরষ-মাস।
যদি আর-কারে ভালোবাস, যদি আর ফিরে নাহি আস,
তবে তুমি যাহা চাও তাই যেন পাও, আমি যত দুখ পাই গো॥
১৪৩
আমি নিশিদিন তােমায় ভালােবাসি,
তুমি অবসরমত বাসিয়ো।
নিশিদিন হেথায় বসে আছি,
তােমার যখন মনে পড়ে আসিয়াে॥
আমি সারানিশি তােমা-লাগিয়া
রব বিরহশয়নে জাগিয়া—
তুমি নিমেষের তরে প্রভাতে
এসে মুখপানে চেয়ে হাসিয়াে॥
তুমি চিরদিন মধুপবনে
চির- বিকশিত বনভবনে
যেয়াে মনােমত পথ ধরিয়া
তুমি নিজ সুখস্রোতে ভাসিয়াে।
যদি তার মাঝে পড়ি আসিয়া
তবে আমিও চলিব ভাসিয়া,
যদি দূরে পড়ি তাহে ক্ষতি কী—
মাের স্মৃতি মন হতে নাশিয়াে॥
১৪৪
সখী ওই বুঝি বাঁশি বাজে— বনমাঝে কি মনোমাঝে॥
বসন্তবায় বহিছে কোথায়,
কোথায় ফুটেছে ফুল,
বলো গো সজনি, এ সুখরজনী
কোন্খানে উদিয়াছে— বনমাঝে কি মনোমাঝে॥