যাব কি যাব না মিছে এ ভাবনা,
সখী, মিছে মরি লোকলাজে।
কে জানে কোথা সে বিরহহুতাশে
ফিরে অভিসারসাজে—
বনমাঝে কি মনোমাঝে
১৪৫
ওরে, কী শুনেছিস ঘুমের ঘোরে, তাের নয়ন এল জলে ভরে॥
এত দিনে তােমায় বুঝি আঁধার ঘরে পেল খুঁজি—
পথের বঁধু দুয়ার ভেঙে পথের পথিক করবে তােরে॥
তাের দুখের শিখায় জ্বাল্ রে প্রদীপ জ্বাল্ রে।
তাের সকল দিয়ে ভরিস পূজার থাল রে।
যেন জীবন মরণ একটি ধারায় তার চরণে আপনা হারায়,
সেই পরশে মােহের বাঁধন রূপ যেন পায় প্রেমের ডােরে॥
১৪৬
কার চোখের চাওয়ার হাওয়ায় দোলায় মন,
তাই কেমন হয়ে আছিস সারাক্ষণ॥
হাসি যে তাই অশ্রুভারে নােওয়া,
ভাবনা যে তাই মৌন দিয়ে ছোঁঁওয়া,
ভাষায় যে তাের সুরের আবরণ॥
তাের পরানে কোন্ পরশমণির খেলা,
তাই হৃদ্গগনে সােনার মেঘের মেলা।
দিনের স্রোতে তাই তাে পলকগুলি
ঢেউ খেলে যায় সােনার ঝলক তুলি,
কালোয় আলােয় কাঁঁপে আঁখির কোণ॥