ফিরিয়া চেয়ে এমন কিছু দিয়ো
বেদনা হবে পরমরমণীয়—
আমার মনে রহিবে নিরবধি
বিদায়খনে খনেক-তরে যদি সজল আঁখি তোলো॥
নিমেষহারা এ শুকতারা এমনি উষাকালে
উঠিবে দূরে বিরহাকাশভালে।
রজনীশেষে এই-যে শেষ কাঁদা
বীণার তারে পড়িল তাহা বাঁধা,
হারানো মণি স্বপনে গাঁথা রবে—
হে বিরহিণী, আপন হাতে তবে বিদায়দ্বার খোলো॥
১৬১
মিলনরাতি পোহালো, বাতি নেভার বেলা এল—
ফুলের পালা ফুৱালে ভালা উজাড় করে ফেলো॥
স্মৃতির ছবি মিলাবে যবে ব্যথার তাপ কিছু তো রবে,
তা নিয়ে মনে বিজন খনে বিরহদীপ জ্বেলো॥
ফাগুনের মাধবীলীলা কুঞ্জ ছিল ঘিরে,
চৈত্রবনে বেদনা তারি মর্মরিয়া ফিরে।
হয়েছে শেষ, তবুও বাকি কিছু তো গান গিয়েছি রাখি-
সেটুকু নিয়ে গুনগুনিয়ে সুরের খেলা খেলো॥
১৬২
হে ক্ষণিকের অতিথি,
এলে প্রভাতে কারে চাহিয়া
ঝরা শেফালির পথ বাহিয়া॥
কোন্ অমরার বিরহিণীরে চাই নি ফিরে,
কার বিষাদের শিশিরনীরে এলে নাহিয়া॥