১৭৫
ক্লান্ত বাঁশির শেষ রাগিণী বাজে শেষের রাতে।
শুকনো ফুলের মালা এখন দাও তুলে মোর হাতে।
সুরখানি ওই নিয়ে কানে পাল তুলে দিই পারের পানে,
চৈত্ররাতের মলিন মালা রইবে আমার সাথে।
পথিক আমি এসেছিলেম তোমার বকুলতলে—
পথ আমারে ডাক দিয়েছে, এখন যাব চলে।
ঝরা যূথীর পাতায় ঢেকে আমার বেদন গেলেম রেখে,
কোন্ ফাগুনে মিলবে সে-যে তোমার বেদনাতে।
১৭৬
কখন দিলে পরায়ে স্বপনে বরণমালা,
ব্যথার মালা।
প্রভাতে দেখি জেগে অরুণ মেঘে
বিদায়বাঁশরি বাজে অশ্রু-গালা।
গোপনে এসে গেলে, দেখি নাই আঁখি মেলে।
আঁধারে দুঃখভোরে বাঁধিলে মোরে,
ভূষণ পরালে বিরহবেদন-ঢালা।
১৭৭
যাবার বেলা শেষ কথাটি যাও বলে,
কোন্খানে যে মন লুকানো দাও বলে।
চপল লীলা ছলনাভরে, বেদনখানি আড়াল করে,
যে বাণী তব হয় নি বলা নাও বলে।
হাসির বাণে হেনেছ কত শ্লেষকথা,
নয়নজলে ভরো গো আজি শেষ কথা।
হায় রে অভিমানিনী নারী, বিরহ হল দ্বিগুণ ভারী
দানের ডালি ফিরায়ে নিতে চাও ব’লে।