এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৫৪
প্রেম
আমি নাই, আমি নাই— আদরিণী লহো তব ঠাঁই
যেথা তব আসন বিরাজে। হায়।
২০৯
শুভ মিলনলগনে বাজুক বাঁশি
মেঘমুক্ত গগনে জাগুক হাসি।
কত দুঃখে কত দূরে দূরে আঁধারসাগর ঘুরে ঘুরে
সোনার তরী তীরে এল ভাসি।
পূর্ণিমা-আকাশে জাগুক হাসি।
ওগো পুরবালা,
আনো সাজিয়ে বরণডালা,
যুগলমিলনমহোৎসবে শুভ শঙ্খরবে
বসন্তের আনন্দ দাও উচ্ছ্বাসি।
পূর্ণিমা-আকাশে জাগুক হাসি।
২১০
আর নহে, আর নহে—
বসন্তবাতাস কেন আর শুষ্ক ফুলে বহে।
লগ্ন গেল বয়ে সকল আশা লয়ে,
এ কোন্ প্রদীপ জ্বালো এ যে বক্ষ আমার দহে।
কানন মরু হল,
আজ এই সন্ধ্যা-অন্ধকারে সেথায় কী ফুল তোলো।
কাহার ভাগ্য হতে বরণমাল হরণ করো,
ভাঙা ডালি ভরো—
মিলনমালার কণ্টকভার কণ্ঠে কি আর সহে।
২১১
ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে ওরে পাখি,
যা উড়ে, যা উড়ে, যা রে একাকী।