ওই-যে দূরে কূলে কূলে ফাল্গুন উচ্ছ্বসিত ফুলে ফুলে—
সেথা হতে আসে দুরন্ত হাওয়া, লাগে আমার পালে।
কোথায় তুমি মম অজানা সাথি,
কাটাও বিজনে বিরহরাতি,
এসো এসো উধাও পথের যাত্রী—
তরী আমার টলোমলো ভরা জোয়ারে।
২৩০
অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দোবন্ধনে।
ও যে সুদূর রাতের পাখি
গাহে সুদূর রাতের গান।
বিগত বসন্তের অশোকরক্তরাগে ওর রঙিন পাখা,
তারি ঝরা ফুলের গন্ধ ওর অন্তরে ঢাকা।
ওগো বিদেশিনী,
তুমি ডাকো ওরে নাম ধরে,
ও যে তোমারি চেনা।
তোমারি দেশের আকাশ ও যে জানে, তোমার রাতের তারা,
তোমারি বকুলবনের গানে ও দেয় সাড়া—
নাচে তোমারি কঙ্কণেরই তালে।
২৩১
আমি যে গান গাই জানি নে সে কার উদ্দেশে।
যবে জাগে মনে অকারণে চঞ্চল হাওয়ায়, প্রবাসী পাখি উড়ে যায়—
সুর যায় ভেসে কার উদ্দেশে।
ওই মুখপানে চেয়ে দেখি—
তুমি সে কি অতীত কালের স্বপ্ন এলে
নূতন কালের বেশে।
কভু জাগে মনে আজও যে জাগে নি এ জীবনে
গানের খেয়া সে মাগে আমার তীরে এসে।