আজ ওই চাঁদের বরণ হবে আলোর সঙ্গীতে,
রাতের মূখের আঁধারখানি খুলবে ইঙ্গিতে।
শুক্লরাতে সেই আলোকে দেখা হবে এক পলকে,
সব আবরণ যাবে যে খসে।
সেই যেন মোর পথের ধারে রয়েছে বসে।
২৫৫
বনে যদি ফুটল কুসুম নেই কেন সেই পাখি।
কোন্ সুদূরের আকাশ হতে আনব তারে ডাকি।
হাওয়ায় হাওয়ায় মাতন জাগে, পাতায় পাতায় নাচন লাগে গো—
এমন মধুর গানের বেলায় সেই শুধু বয় বাকি।
উদাস-করা হৃদয়-হরা না জানি কোন্ ডাকে
সাগর-পারের বনের ধারে কে ভুলালো তাকে।
আমার হেথায় ফাগুন বৃথায় বারে বারে ডাকে যে তায় গো—
এমন বাতের ব্যাকুল ব্যথায় কেন সে দেয় ফাঁকি।
২৫৬
ধূসর জীবনের গোধূলিতে ক্লান্ত মলিন যেই স্মৃতি
মুছে-আসা সেই ছবিটিতে রঙ এঁকে দেয় মোর গীতি।
বসন্তের ফুলের পরাগে যেই রঙ জাগে,
ঘুম-ভাঙা পিককাকলিতে যেই রঙ লাগে,
যেই রঙ পিয়ালছায়ায় ঢালে শুক্লসপ্তমীর তিথি।
সেই ছবি দোলা খায় রক্তের হিল্লোলে,
সেই ছবি মিশে যায় নির্ঝরকল্লোলে,
দক্ষিণসমীরণে ভাসে, পূর্ণিমাজ্যোৎস্নায় হাসে—
সে আমারি স্বপ্নের অতিথি।