২৬৬
শ্রারণেৱ পবনে আকুল বিষণ্ন সন্ধ্যায়
সাথিহারা ঘরে মন আমার
প্রবাসী পাখি ফিরে যেতে চায়
দূরকালের অরণ্যছায়াতলে।
কী জানি সেথা আছে কিনা আজও বিজনে বিরহী হিয়া
নীপবনগন্ধঘন অন্ধকারে—
সাড়া দিবে কি গীতহীন নীরব সাধনায়।
হায়, জানি সে নাই জীর্ণ নীড়ে, জানি সে নাই নাই।
তীর্থহারা যাত্রী ফিরে ব্যর্থ বেদনায়—
ডাকে তবু হৃদয় মম মনে-মনে রিক্ত ভুবনে
রোদন-জাগা সঙ্গীহারা অসীম শূন্যে শূন্যে।
২৬৭
সে যে পাশে এসে বসেছিল, তবু জাগি নি।
কী ঘুম তোরে পেয়েছিল হতভাগিনি।
এসেছিল নীরব রাতে, বীণাখানি ছিল হাতে—
স্বপন-মাঝে বাজিয়ে গেল গভীর রাগিণী।
জেগে দেখি দখিন-হাওয়া, পাগল করিয়া
গন্ধ তাহার ভেসে বেড়ায় আঁধার ভরিয়া।
কেন আমার রজনী যায়, কাছে পেয়ে কাছে না পায়—
কেন গো তার মালার পরশ বুকে লাগে নি।
২৬৮
কোন্ গহন অরণ্যে তারে এলেম হারায়ে
কোন্ দূর জনমের কোন্ স্মৃতিবিস্মৃতিছায়ে।
আজ আলো-আঁধারে
কখন্-বুঝি দেখি, কখন্ দেখি না তারে—
কোন্ মিলনসুখের স্বপনসাগর এল পারায়ে