দিনের শেষে যেতে যেতে পথের ’পরে
ছায়াখানি মিলিয়ে দিল বনান্তরে।
সেই ছায়া এই আমার মনে, সেই ছায়া ওই কাঁপে বনে,
কাঁপে সুনীল দিগঞ্চলে রে।
২৮৬
আমি এলেম তারি দ্বারে, ডাক দিলেম অন্ধকারে হা রে।
আগল ধ’রে দিলেম নাড়া— প্রহর গেল, পাই নি সাড়া,
দেখতে পেলেম না যে তারে হা রে।
তবে যাবার আগে এখান থেকে এই লিখনখানি যাব রেখে—
দেখা তোমার পাই বা না পাই দেখতে এলেম জেনো গো তাই,
ফিরে যাই সুদূরের পারে হা রে।
২৮৭
দীপ নিবে গেছে মম নিশীথসমীরে,
ধীরে ধীরে এসে তুমি যেয়ো না গো ফিরে।
এ পথে যখন যাবে আঁধারে চিনিতে পাবে—
রজনীগন্ধার গন্ধ ভরেছে মন্দিরে।
আমারে পড়িবে মনে কখন সে লাগি
প্রহরে প্রহরে আমি গান গেয়ে জাগি।
ভয় পাছে শেষ রাতে ঘুম আসে আঁখিপাতে,
ক্লান্ত কণ্ঠে মোর সুর ফুরায় যদি রে।
২৮৮
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে,
তখন ছিলেম বহু দূরে কিসের অন্বেষণে।
কূলে যখন এলেম ফিরে তখন অস্তশিখরশিরে
চাইল রবি শেষ চাওয়া তার কনকচাঁপার বনে।
আমার ছুটি ফুরিয়ে গেছে কখন অন্যমনে।