লিখন তোমার বিনিসুতোর শিউলিফুলের মালা,
বাণী সে তার সোনায়-ছোঁওয়া অরুণ-আলোয়-ঢালা—
এল আমার ক্লান্ত হাতে ফুল-ঝরানো শীতের রাতে
কুহেলিকায় মন্থর কোন্ মৌন সমীরণে।
তখন দুটি ফুরিয়ে গেছে কখন অন্যমনে।
২৮৯
সে যে বাহির হল আমি জানি,
বক্ষে আমার বাজে তাহার পথের বাণী।
কোথায় কবে এসেছে সে সাগরতীরে, বনের শেষে,
আকাশ করে সেই কথারই কানাকানি।
হায় রে, আমি ঘর বেঁধেছি এতই দূরে,
না জানি তার আসতে হবে কত ঘুরে।
হিয়া আমার পেতে রেখে সারাটি পথ দিলেম ঢেকে,
আমার ব্যথায় পড়ুক তাহার চরণখানি।
২৯০
কবে তুমি আসবে ব’লে রইব না বসে, আমি চলব বাহিরে।
শুকনো ফুলের পাতাগুলি পড়তেছে খসে, আর সময় নাহি রে।
বাতাস দিল দোল্, দিল দোল্;
ও তুই ঘাটের বাঁধন খোল্, ও তুই খোল্।
মাঝ-নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে তরী বাহি রে।
আজ শুক্লা একাদশী, হেরো নিদ্রাহারা শশী
ওই স্বপ্নপারাবারের খেয়া একলা চালায় বসি।
তোর পথ জানা নাই, নাইবা জানা নাই—
ও তোর নাই মানা নাই, মনের মানা নাই—
সবার সাথে চলবি রাতে সামনে চাহি রে।