২৯১
জাগরণে যায় বিভাবরী—
আঁখি হতে ঘুম নিল হরি মরি মরি।
যার লাগি ফিরি একা একা— আঁখি পিপাসিত, নাহি দেখা,
তারি বাঁশি ওগো তারি বাঁশি তারি বাঁশি বাজে হিয়া ভরি মরি মরি।
বাণী নাহি, তবু কানে কানে কী যে শুনি তাহা কেবা জানে।
এই হিয়াভরা বেদনাতে, বারি-ছলোছলো আঁখিপাতে,
ছায়া দোলে তারি ছায়া দোলে ছায়া দোলে দিবানিশি ধরি মরি মরি।
২৯২
নাই নাই নাই যে বাকি,
সময় আমার—
শেষের প্রহর পূর্ণ করে দেবে না কি।
বারে বারে কারা করে আনাগোনা,
কোলাহলে সুরটুকু আর যায় না শোনা—
ক্ষণে ক্ষণে গানে আমার পড়ে ফাঁকি।
পণ করেছি, তোমার হাতে আপনারে
শেষ করে আজ চুকিয়ে দেব একেবারে।
মিটিয়ে দেব সকল খোঁজা, সকল বোঝা,
ভোরবেলাকার একলা পথে চলব সোজা—
তোমার আলোয় ডুবিয়ে নেব সজাগ আঁখি
২৯৩
একদা তুমি, প্রিয়ে, আমারি এ তরুমূলে
বসেছ ফুলসাজে সে কথা যে গেছ ভুলে।
সেথা যে বহে নদী নিরবধি সে ভোলে নি,
তারি যে স্রোতে আঁকা বাঁকা বাঁকা তব বেণী,
তোমারি পদরেখা আছে লেখা তারি কূলে।
আজি কি সবই ফাঁকি- সে কথা কি গেছ ভুলে।