গেঁথেছ যে রাগিণী একাকিনী দিনে দিনে
আজিও যায় ব্যেপে কেঁপে কেঁপে তৃণে তৃণে।
গাঁথিতে যে আঁচলে ছায়াতলে ফুলমালা
তাহারি পরশন হরষণ- সুধা-ঢালা
ফাগুন আজো যে রে খুঁজে ফেরে চাঁপাফুলে।
আজি কি সবই ফাঁকি— সে কথা কি গেছ ভুলে।
২৯৪
আমার একটি কথা বাঁশি জানে, বাঁশিই জানে।
ভরে রইল বুকের তলা, কারো কাছে হয় নি বলা,
কেবল বলে গেলেম বাঁশির কানে কানে।
আমার চোখে ঘুম ছিল না গভীর রাতে,
চেয়ে ছিলেম চেয়ে থাকা তারার সাথে।
এমনি গেল সারা রাতি, পাই নি আমার জাগার সাথি—
বাঁশিটিরে জাগিয়ে গেলেম গানে গানে।
২৯৫
ও দেখা দিয়ে যে চলে গেল ও চুপিচুপি কী বলে গেল।
যেতে যেতে গো, কাননেতে গো ও কত যে ফুল দ’লে গেল।
মনে মনে কী ভাবে কে জানে, মেতে আছে ও যেন কী গানে,
নয়ন হানে আকাশ-পানে— চাঁদের হিয়া গ’লে গেল।
ও পায়ে পায়ে যে বাজায়ে চলে বীণার ধ্বনি তৃণের দলে।
কে জানে কারে ভালো কি বাসে, বুঝিতে নারি কাঁদে কি হাসে,
জানি নে ও কি ফিরিয়া আসে— জানি নে ও কি ছ’লে গেল।
২৯৬
কেন সারা দিন ধীরে ধীরে
বালু নিয়ে শুধু খেলো তীরে।