৩৩২
কোন্ দেবতা সে কী পরিহাসে ভাসালো মায়ার ভেলায়।
স্বপ্নের সাথি, এসো মোরা মাতি স্বর্গের কৌতুকখেলায়।
সুরের প্রবাহে হাসির তরঙ্গে বাতাসে বাতাসে ভেসে যাব রঙ্গে
নৃত্যবিভঙ্গে
মাধবীবনের মধুগন্ধে মোদিত মোহিত মন্থর বেলায়।
যে ফুলমালা দুলায়েছ আজি রোমাঞ্চিত বক্ষতলে
মধুরজনীতে রেখো সরসিয়া মোহের মদির জলে।
নবোদিত সূর্যের করসম্পাতে বিকল হবে হায় লজ্জা-আঘাতে,
দিন গত হলে নূতন প্রভাতে মিলাবে ধুলার তলে কার অবহেলায়।
৩৩৩
নারীর ললিত লোভন লীলায় এখনি কেন এ ক্লান্তি।
এখনি কি, সখা, খেলা হল অবসান।
যে মধুর রসে ছিলে বিহ্বল সে কি মধুমাখা ভ্রান্তি—
সে কি স্বপ্নের দান। সে কি সত্যের অপমান।
দূর দুরাশায় হৃদয় ভরিছ, কঠিন প্রেমের প্রতিমা গড়িছ—
কী মনে ভাবিয়া নারীতে করিছ পৌরুষসন্ধান।
এও কি মায়ার দান।
সহসা মন্ত্রবলে।
নমনীয় এই কমনীয়তারে যদি আমাদের সখী একেবারে
পরের বসন-সমান ছিন্ন করি ফেলে ধূলিতলে
সবে না সবে না সে নৈরাশ্য— ভাগ্যের সেই অট্টহাস্য
জানি জানি, সখা, ক্ষুব্ধ করিবে লুব্ধ পুরুষপ্রাণ— হানিবে নিঠুর বাণ।
৩৩৪
ওরে চিত্ররেখাভোরে বাঁধিল কে— বহু- পূর্বস্মৃতিসম হেরি ওকে।
কার তুলিকা নিল মন্ত্রে জিনি এই মঞ্জুল রূপের নির্ঝরিণী— স্থির নির্ঝরিণী।
যেন ফাল্গুন-উপবনে শুক্লরাতে দোলপূর্ণিমাতে