এল ছন্দমুরতি কার নব-অশোকে।
নৃত্যকলা যেন চিত্রে-লিখা
কোন্ স্বর্গের মোহিনী-মরীচিকা।
শরৎ-নীলাম্বরে তড়িৎলতা কোথা হারাইল চঞ্চলতা।
হে স্তব্ধবাণী, কারে দিবে আনি নন্দনমন্দারমাল্যখানি— বরমাল্যখানি
প্রিয়- বন্দনাগান-জাগানো রাতে
শুভ দর্শন দিবে তুমি কাহার চোখে?
৩৩৫
চিনিলে না আমারে কি।
দীপহারা কোণে আমি ছিনু অন্যমনে, ফিরে গেলে কারেও না দেখি।
দ্বারে এসে গেলে ভুলে পরশনে দ্বার যেত খুলে—
মোর ভাগ্যতরী এটুকু বাধায় গেল ঠেকি।
ঝড়ের রাতে ছিনু প্রহর গণি।
হায়, শুনি নাই, শুনি নাই রথের ধ্বনি তব রথের ধ্বনি।
গুরুগুরু গরজনে কাঁপি বক্ষ ধরিয়াছিনু চাপি,
আকাশে বিদ্যুতবহ্নি অভিশাপ গেল লেখি।
৩৩৬
কঠিন বেদনার তাপস দোঁহে যাও চিরবিরহের সাধনায়।
ফিরো না, ফিরো না, ভুলো না মোহে।
গভীর বিষাদের শান্তি পাও হৃদয়ে,
জয়ী হও অন্তরবিদ্রোহে।
যাক পিয়াসা, ঘুচুক দুরাশা, যাক মিলায়ে কামনাকুয়াশা।
স্বপ্ন-আবেশ-বিহীন পথে যাও বাঁধনহারা
তাপবিহীন মধুর স্মৃতি নীরবে ব’হে।
৩৩৭
সব-কিছু কেন নিল না, নিল না, নিল না ভালোবাসা—
ভালো আর মন্দেরে।