এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্রীষ্ম
৪৩৩
মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা,
অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা।
রসের আবেশরাশি শুষ্ক করি দাও আসি,
আনো আনো আনো তব প্রলয়ের শাঁখ।
মায়ার কুজ্ঝটিজাল যাক দূরে যাক।
১৫
নমো নমো, হে বৈরাগী।
তপোবহ্নির শিখা জ্বালো জ্বালো,
নির্বাণহীন নির্মল আলো
অন্তরে থাক্ জাগি।
১৬
মধ্যদিনে যবে গান বন্ধ করে পাখি,
হে রাখাল, বেণু তব বাজাও একাকী।
প্রান্তরপ্রান্তের কোণে রুদ্র বসি তাই শোনে,
মধুরের-স্বপ্নাবেশে-ধ্যানমগন-আঁখি—
হে রাখাল, বেণু যবে বাজাও একাকী।
সহসা উচ্ছ্বসি উঠে ভরিয়া আকাশ
তৃষাতপ্ত বিরহের নিরুদ্ধ নিশ্বাস।
অম্বরপ্রান্তে যে দূরে ডম্বরু গম্ভীর সুরে
জাগায় বিদ্যুতছন্দে আসন্ন বৈশাখী—
হে রাখাল, বেণু যবে বাজাও একাকী।
১৭
ওই বুঝি কালবৈশাখী
সন্ধ্যা-আকাশ দেয় ঢাকি।
ভয় কী রে তোর ভয় কারে, দ্বার খুলে দিস চার ধারে—
শোন্ দেখি ঘোর হুঙ্কারে নাম তোরই ওই যায় ডাকি।