পাতা:গীতবিতান.djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪৮
প্রকৃতি

আমায়  নিরুদ্দেশের পানে  কেমন করে টানে  এমন করুণ গানে।
ওই  পথের পারের আলো  আমার  লাগল চোখে ভালো,
গগনপারে দেখি তারে সুদূর নির্বাক্।

৫১

  আষাঢ়ের পূর্ণিমা আমার,  আজি রইলে আড়ালে—
স্বপনের আবরণে লুকিয়ে দাঁড়ালে।
আপনারই মনে জানি না একেলা  হৃদয়-আঙিনায় করিছ কী খেলা—
তুমি আপনায় খুঁজিয়া ফেরো কি  তুমি আপনায় হারালে।
একি মনে রাখা  একি ভুলে যাওয়া।
একি  স্রোতে ভাসা, একি কূলে যাওয়া।
কভুবা নয়নে কভুবা পরানে  কর লুকোচুরি কেন যে কে জানে।
কভুবা ছায়ায় কভুবা আলোয়  কোন্ দোলায় যে নাড়ালে।

৫২

শ্যামল ছায়া, নাইবা গেলে
শেষ বরষার ধারা ঢেলে।
সময় যদি ফুরিয়ে থাকে—  হেসে বিদায় করে তাকে,
এবার নাহয় কাটুক বেলা অসময়ের খেলা খেলে।
মলিন, তোমার মিলাবে লাজ—
শরৎ এসে পরাবে সাজ।
নবীন ববি উঠবে হাসি,  বাজাবে মেঘ সোনার বাঁশি—
কালোয় আলোয় যুগলরূপে শূন্যে দেবে মিলন মেলে।

৫৩

আহ্বান আসিল মহোৎসবে
অম্বরে গম্ভীর ভেরিরবে।
পূর্ববায়ু চলে ডেকে  শ্যামলের অভিষেকে—
অরণ্যে অরণ্যে নৃত হবে।