আজ দিগন্তে ঘন ঘন গভীর গুরু গুরু ডমরুরব হয়েছে ওই শুরু।
তাই শুনে আজ গগনতলে পলে পলে দলে দলে
অগ্নিবরন নাগ নাগিনী ছুটেছে উদাসী।
৬৯
আজি বর্ষারাতের শেষে
সজল মেঘের কোমল কালোয় অরুণ আলো মেশে।
বেণুবনের মাথায় মাথায় রঙ লেগেছে পাতায় পাতায়,
রঙের ধারায় হৃদয় হারায়, কোথা যে যায় ভেসে।
এই ঘাসের ঝিলিমিলি,
তার সাথে মোর প্রাণের কাঁপন এক তালে যায় মিলি।
মাটির প্রেমে আলোর রাগে রক্তে আমার পুলক লাগে—
বনের সাথে মন যে মাতে, ওঠে আকুল হেসে।
৭০
শ্রাবণমেঘের আধেক দুয়ার ওই খোলা,
আড়াল থেকে দেয় দেখা কোন্ পথ-ভোলা।
ওই-যে পুরব-গগন জুড়ে উত্তরী তার যায় রে উড়ে,
সজল হাওয়ার হিন্দোলাতে দেয় দোলা।
লুকাবে কি প্রকাশ পাবে কেই জানে—
আকাশে কি ধরায় বাসা কোন্খানে।
নানা বেশে ক্ষণে ক্ষণে ওই তো আমার লাগায় মনে
পরশখানি নানা-সুরের-ঢেউ-তোলা।
৭১
বহু যুগের ও পার হতে আষাঢ় এল আমার মনে,
কোন্ সে কবির ছন্দ বাজে ঝরো ঝরো বরিষনে।
যে মিলনের মালাগুলি ধুলায় মিশে হল ধূলি
গন্ধ তারি ভেসে আসে আজি সজল সমীরণে।