বাদল-হাওয়ার দীর্ঘশ্বাসে যূথীবনের বেদন আসে—
ফুল-ফোটানোর খেলায় কেন ফুল-ঝরানোর ছল।
ও তুই কী এনেছিস বল্।
ওগো, কী আবেশ হেরি চাঁদের চোখে,
ফেরে সে কোন্ স্বপন-লোকে।
মন বসে রয় পথের ধারে, জানে না সে পাবে কারে—
আসা-যাওয়ার আভাস ভাসে বাতাসে চঞ্চল।
ও তুই কী এনেছিস বল্।
৮২
পুব-হাওয়াতে দেয় দোলা আজ মরি মরি।
হৃদয়নদীর কূলে কূলে জাগে লহরী।
পথ চেয়ে তাই একলা ঘাটে বিনা কাজে সময় কাটে,
পাল তুলে ওই আসে তোমার সুরেরই তরী।
ব্যথা আমার কূল মানে না, বাধা মানে না।
পরান আমার ঘুম জানে না, জাগা জানে না।
মিলবে যে আজ অকূল-পানে তোমার গানে আমার গানে,
ভেসে যাবে রসের বানে আজ বিভাবরী।
৮৩
অশ্রুভরা বেদনা দিকে দিকে জাগে।
আজি শ্যামল মেঘের মাঝে বাজে কার কামনা।
চলিছে ছুটিয়া অশান্ত বায়,
ক্রন্দন কার তার গানে ধ্বনিছে—
করে কে সে বিরহী বিফল সাধনা।
৮৪
ধরণীর গগনের মিলনের ছন্দে
বাদলবাতাস মাতে মালতীর গন্ধে।