কেশরকীর্ণ কদম্ববনে মর্মরমুখরিত মৃদুপবনে
বর্ষণহর্ষ-ভরা ধরণীর বিরহবিশঙ্কিত করুণ কথা।
ধৈর্য মানো ওগো, ধৈর্য মানো! বরমাল্য গলে তব হয় নি ম্লান’
আজও হয় নি ম্লান’—
ফুলগন্ধনিবেদনবেদনসুন্দর মালতী তব চরণে প্রণতা।
৯৪
আজি শ্রাবনঘনগহন মোহে গোপন তব চরণ ফেলে
নিশার মতে, নীরব ওহে, সবার দিঠি এড়ায়ে এলে।
প্রভাত আজি মুদেছে আঁখি, বাতাস বৃথা যেতেছে ডাকি,
নিলাজ নীল আকাশ ঢাকি নিবিড় মেঘ কে দিল মেলে|
কূজনহীন কাননভূমি, দুয়ার দেওয়া সকল ঘরে—
একেলা কোন্ পথিক তুমি পথিকহীন পথের ’পরে।
হে একা সখা, হে প্রিয়তম, রয়েছে খোলা এ ঘর মম—
সমুখ দিয়ে স্বপনসম যেয়ো না মোরে হেলায় ঠেলে।
৯৫
আজি ঝডের রাতে তোমার অভিসার
পরানসখা বন্ধু হে আমার।
আকাশ কাঁদে হতাশসম, নাই যে ঘুম নয়নে মম—
দুয়ার খুলি হে প্রিয়তম, চাই যে বারে বার।
বাহিরে কিছু দেখিতে নাহি পাই,
তোমার পথ কোথায় ভাবি তাই।
সুদূর কোন নদীর পারে গহন কোন বনের ধারে
গভীর কোন্ অন্ধকারে হতেছ তুমি পার।
৯৬
চলে ছলোছলো নদীধারা নিবিড় ছায়ায় কিনারায় কিনারায়।
ওকে মেঘের ডাকে ডাকল সুদূরে, ‘আ য় আ য় আয়।’
কূলে প্রফুল্ল বকুলবন ওরে করিছে আবাহন—