আজি মধুর বাতাসে হৃদয় উদাসে, রহে না আবাসে মন হায়—
কোন্ কুসুমের আশে কোন্ ফুলবাসে সুনীল আকাশে মন ধায় গো।
আজি কে যেন গো নাই, এ প্রভাতে তাই জীবন বিফল হয় গো—
তাই চারি দিকে চায়, মন কেঁদে গায় ‘এ নহে, এ নহে, নয় গো’।
কোন্ স্বপনের দেশে আছে এলোকেশে কোন্ ছায়াময়ী অমরায়।
আজি কোন্ উপবনে, বিরহবেদনে আমারি কারণে কেঁদে যায় গো।
আজি যদি গাঁথি গান অথিরপরান, সে গান শুনাব কারে আর।
আমি যদি গাঁথি মালা লয়ে ফুলডালা, কাহারে পরাব ফুলহার।
আমি আমার এ প্রাণ যদি করি দান, দিব প্রাণ তবে কার পায়।
সদা ভয় হয় মনে পাছে অযতনে মনে মনে কেহ ব্যথা পায় গো।
১৪২
মেঘের কোলে রোদ হেসেছে, বাদল গেছে টুটি। আহা, হাহা, হা।
আজ আমাদের ছুটি ও ভাই, আজ আমাদের ছুটি। আহা, হাহা, হা।
কী করি আজ ভেবে না পাই, পথ হারিয়ে কোন্ বনে যাই,
কোন্ মাঠে যে ছুটে বেড়াই সকল ছেলে জুটি। আহা, হাহা, হা।
কেয়া-পাতার নৌকো গড়ে সাজিয়ে দেব ফুলে—
তালদিঘিতে ভাসিয়ে দেব, চলবে দুলে দুলে।
রাখাল ছেলের সঙ্গে ধেনু চরাব আজ বাজিয়ে বেণু,
মাখব গায়ে ফুলের রেণু চাঁপার বনে লুটি। আহা, হাহা, হা।
১৪৩
আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্রছায়ায় লুকোচুরি খেলা রে ভাই, লুকোচুরি খেলা—
নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই— লুকোচুরি খেলা
আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে― উড়ে বেড়ায় আলোয় মেতে,
আজ কিসের তরে নদীর চরে চখা-চখীর মেলা।