হাওয়ার নেশায় উঠল মেতে দিগ্বধূরা ধানের ক্ষেতে—
রোদের সোনা ছড়িয়ে পড়ে মাটির আঁচলে, মরি হা য় হা য় হায়।
মাঠের বাঁশি শুনে শুনে আকাশ খুশি হল।
ঘরেতে আজ কে রবে গো, খোলো খোলো দুয়ার খোলো।
আলোর হাসি উঠল জেগে ধানের শিষে শিশির লেগে—
ধরার খুশি ধরে না গো, ওই-যে উথলে, মরি হা য় হা য় হায়।
১৮০
ছাড়্ গো তোরা ছাড়্ গো,
আমি চলব সাগর-পার গো।
বিদায়বেলায় একি হাসি, ধরলি আগমনীর বাঁশি—
যাবার সুরে আসার সুরে করলি একাকার গো।
সবাই আপন-পানে আমায় আবার কেন টানে।
পুরানো শীত পাতা-ঝরা, তারে এমন নূতন করা!
মাঘ মরিল ফাগুন হয়ে খেয়ে ফুলের মার গো।
রঙের খেলার ভাই রে, আমার সময় হাতে নাই রে।
তোমাদের ওই সবুজ ফাগে চক্ষে আমার ধাঁদা লাগে—
আমায় তোদের প্রাণের দাগে দাগিস নে, ভাই, আর গো।
১৮১
আমরা নূতন প্রাণের চর হা হা।
আমরা থাকি পথে ঘাটে, নাই আমাদের ঘর হা হা।
নিয়ে পক্ব পাতার পুঁজি পালাবে শীত, ভাবছ বুঝি গো?
ও-সব কেড়ে নেব, উড়িয়ে দেব দখিন-হাওয়ার ’পর হা হা।
তোমায় বাঁধব নূতন ফুলের মালায়
বসন্তের এই বন্দীশালায়।
জীর্ণ জরার ছদ্মরূপে এড়িয়ে যাবে চুপে চুপে?
তোমার সকল ভূষণ ঢাকা আছে, নাই যে অগোচর হা হা।