১৮২
আর নাই যে দেরি, নাই যে দেরি।
সামনে সবার পড়ল ধরা তুমি যে, ভাই, আমাদেরই।
হিমের বাহু-বাঁধন টুটি পাগ্লাঝোরা পাবে ছুটি,
উত্তরে এই হাওয়া তোমার বইবে উজান কুঞ্জ ঘেরি।
নাই যে দেরি নাই যে দেরি।
শুনছ না কি জলে স্থলে জাদুকরের বাজল ভেরী।
দেখছ নাকি এই আলোকে খেলছে হাসি রবির চোখে—
সাদা তোমার শ্যামল হবে, ফিরব মোরা তাই যে হেরি
১৮৩
একি মায়া, লুকাও কায়া জীর্ণ শীতের সাজে।
আমার সয় না, সয় না, সয় না প্রাণে, কিছুতে সয় না যে।
কৃপণ হয়ে হে মহারাজ, রইবে কি আজ
আপন ভুবন মাঝে।
বুঝতে নারি বনের বীণা তোমার প্রসাদ পাবে কিনা,
হিমের হাওয়ায় গগন-ভরা ব্যাকুল রোদন বাজে।
কেন মরুর পারে কাটাও বেলা রসের কাণ্ডারী।
লুকিয়ে আছে কোথায় তোমার রূপের ভাণ্ডারী।
রিক্তপাতা শুষ্ক শাখে কোকিল তোমার কই গো ডাকে—
শূন্য সভা, মৌন বাণী, আমরা মরি লাজে।
১৮৪
মোরা ভাঙব তাপস, ভাঙব তোমার কঠিন তপের বাঁধন—
এবার এই আমাদের সাধন।
চল্ কবি, চল্ সঙ্গে জুটে, কাজ ফেলে তুই আ য় আ য় আয় রে ছুটে,
গানে গানে উদাস প্রাণে
জাগা রে উন্মাদন, এবার জাগা রে উন্মাদন।